দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় লটারি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
Advertisement
কম্পিউটারে বাটন চেপে সরকারি স্কুলের লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। এরপর একই পদ্ধতিতে বেসরকারি স্কুলের লটারির উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
এদিকে, দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কে, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে, তা নির্ধারণ করে দুপুর ২টার পর ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির দেওয়া এ লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
ডিজিটাল লটারিতে ভর্তির ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখা যাবে। তাছাড়া টেলিটক সিম ব্যবহার করে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। এসএমএস পদ্ধতি: GSA ResultUser ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
Advertisement
আরও পড়ুন
‘ভর্তিতে লটারি বাদ দিলে তদবিরের যন্ত্রণায় অফিস করতে পারতাম না’ জরিমানাসহ এসএসসির ফরম পূরণের সময় বাড়লো ৩ দিনলটারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬ টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।
আর তিন হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
Advertisement
লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী- সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।
শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে।
মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এএএইচ/ইএ/জিকেএস