নরওয়ের শরণার্থী বিষয়ক কাউন্সিল (এনআরসি) জানিয়েছে, নভেম্বরের শেষের দিকে প্রয়োজনীয় আশ্রয় সামগ্রী পেয়েছে মাত্র দুই লাখ ৮৫ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। এখন আরও ৯ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের জরুরি আশ্রয় প্রয়োজন। এই প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বাসস্থান সংকটে দিন কাটাচ্ছেন এসব অসহায় মানুষ। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
ফিলিস্তিনে এনআরসির আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জেরোয়েন কোয়াঞ্জার। তিনি বলেন, আশ্রয় সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহায়তার মাত্র এক অংশ আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত পরিবার প্রয়োজনীয় বাসস্থানের অভাবে প্রচণ্ড শীত এবং বৃষ্টির মধ্যে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছে। গাজায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে তীব্র শীতে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বেইত লাহিয়াতে দুজন, শাতি শরণার্থী শিবিরে চারজন এবং গাজা সিটিতে আরও পাঁচজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
Advertisement
এর আগে খান ইউনিসে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বেইত হানুনে অবস্থিত আরও একটি স্কুলে হামলার ঘটনায় আরও কমপক্ষে ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে শিগগির আকাশসীমা চালু করবে সিরিয়া সিরিয়ায় ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা ইসরায়েলের, ধ্বংস নৌবহরগাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন।
টিটিএন
Advertisement