জাতীয়

এবার অন্যরকম বিজয় উৎসব

আজ ১৬ ডিসেম্বর। দিনব্যাপী সরকারিভাবে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে এ দিবস। সেই সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দলের বিজয় শোভাযাত্রা ও সভা-সেমিনারের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ৫৪তম বিজয় দিবস।

Advertisement

তবে সরকারিভাবে জাঁকজমকভাবে বিজয় দিবস উদযাপিত হলেও রাজধানীর পথেঘাটে বিজয় দিবসের ব্যতিক্রম উদযাপন দেখা গেছে। নগরীর মোড়ে মোড়ে মাইকে গান-বাজনা নেই, শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে তরুণ-তরুণীদের কম দেখা গেছে।

যদিও এবারের বিজয় দিবসের আনন্দ সুনির্দিষ্ট কোনো দলের বা রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সেটি বোঝা যাচ্ছে মানুষের বুলিতে।

শাহবাগ মোড়ে কথা হয় একটি এনজিওর প্রতিনিধি বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর বিজয় দিবসে যেভাবে মানুষ ঘোরাঘুরি করতো, এবার কিছুটা কম। রমনা-টিএসসি এসে কিছুটা ভিড় দেখেছি। ব্যক্তিগতভাবে আগে মানুষ যেভাবে বিজয় দিবসে ছুটির দিন হিসেবে ঘোরাঘুরি করতো, সেটা কম।

Advertisement

আরও পড়ুন বিজয়ের কনসার্টে সংগীতপ্রেমীদের ঢল ভারত ছিল বিজয়ের মিত্র, এর বেশি নয়, মোদীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ স্বৈরাচার বিদায় হওয়ায় এ বছরের বিজয় দিবস মহা আনন্দের: প্রধান উপদেষ্টা

শান্তিনগর মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক ওমর ফারুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ ভাড়া কিছুটা কম পাচ্ছি। সকালে মানুষ কম ছিল, বিকেলে একটু মানুষ বের হইছে।

টিএসসিতে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, অন্যবার যেভাবে একতরফা গান-বাজনা, খিছুড়ির আয়োজন থাকে; এবার সেটি নেই বললেই চলে। কোথাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানি শুনিনি। তবে জিয়াকে নিয়ে স্লোগান ও গান শোনা গেছে।

এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, লাল-সবুজের পতাকায় সেজেছে অনেক রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত আর যানবাহন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।

রাজধানীর শাহবাগে করা হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের ‘বিজয়ের লাল জুলাই’ প্রদর্শনী। এছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি দেখা গেছে।

Advertisement

আরএএস/বিএ