খেলাধুলা

ফতুল্লায় মাশরাফির ঝড়ো সেঞ্চুরি

একের পর এক হারের কারণে চোখে সর্ষেফুল দেখা শুরু করেছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম মাশরাফি বিন মর্তুজার ঘাড়ে দায়িত্ব তুলে দেয়ার পরও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কাংখিত ফলের দেখা মিলছে না; কিন্তু মাশরাফি এমনই এক ক্রিকেটার, যিনি খুব সহজে হার মানতে রাজি নন। ফিনিক্স পাখির মত ঠিকই ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে বের হয়ে আসবেন। বের করে আনবেন নিজের দলকেও। সেই মাশরাফি আবারও জলে উঠলেন। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে এবার বল হাতে নয়, ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। এতটাই বিধ্বংসী যে এটাকে টর্নেডোর সাথে তুলনা করলেও যেন ভুল হবে। তার ব্যাটের সামনে উল্টো সর্ষেফুল দেখতে শুরু করে দিয়েছে শেখ জামালের বোলাররা। ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখিয়ে মাত্র ৫০ বলেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। ৫১ বলে ১০৪ রানে আউট হওয়ার আগে নিজের দলকেও তুলে দিয়ে গেছেন ৩১৬ রানের পাহাড়ে। বোলিংয়ে এর আগেও অনেকবার আগুন ঝরিয়েছিন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটসম্যান মাশরাফির ঝলকও দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব; কিন্তু শনিবার ফতুল্লায় তিনি ছিলেন এক কাঠি সরস। আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেন এ তারকা। টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বোলারদের গলির বোলার বানিয়ে ছেড়ে দিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে অধিনায়ক। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে শেখ জামালকে বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তার দল।এবারের লিগে সবচেয়ে দুর্বল দল নিয়ে লড়ে যাচ্ছিলেন মাশরাফি। আগের ছয় ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। বরাবরই বলে আসছিলেন একজন ভালো মানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভাবে দল হারছে। আর তার ঘাটতি পুরণ করতে এদিন একটু আগেই মাঠে নামলেন মাশরাফি। ছয় নম্বরে নেমে ১০৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৫১ বলে ২টি চারের বিপরীতে ১১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ২০৩.৯২। ছক্কার ফুলঝুরি ছড়ানো মাশরাফি এদিন শফিউলের বলে আরও একটি ছক্কা মারতে গিয়ে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনে। তবে এর আগে কাজের কাজটি করে গেছেন তিনি। তার এ সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৩১৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কলাবাগান। উল্লেখ্য, লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্ট এর আগে সাতবার হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মাশরাফি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরিও আছে তার। কিন্তু এবারই লিস্ট `এ` ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলান বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এ অধিনায়ক।  আরটি/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement