জাতীয়

বিচারের নামে প্রহসন নয়, হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই: আখতার 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা বিচারের নামে অনেক প্রহসন দেখেছি। অনেক সময় জুডিসিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আবার অপরাধীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার অপতৎপরতাও দেখেছি। চব্বিশের গণআন্দোলনে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এ গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমরা। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে সেটা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: হাবিব উন নবী

আখতার হোসেন বলেন, আমরা চল্লিশকে ধারণ করি, সাতচল্লিশকে ধারণ করি; একাত্তরকে ধারণ করি। নব্বই-চব্বিশসহ বাংলাদেশ তথা এ ভূখণ্ডের মানুষের যত গণআন্দোলন, তার সবগুলোকে আমরা ধারণ করি। মুক্তির যত সংগ্রাম, সবগুলোকে ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলি—একাত্তরে যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদের যেন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। আবার চব্বিশে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, গণহত্যা করেছে; শেখ হাসিনাসহ সবাইকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।’

একাত্তর ও চব্বিশ ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, ‘একাত্তর হোক, চব্বিশ হোক; যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তাদের ব্যাপারে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেই সক্ষমতা আছে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তাদের বিরুদ্ধেই জনগণ সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে।’

এএএইচ/ইএ

Advertisement