দেশজুড়ে

১৬ বছরে এই প্রথম বিজয় দিবসে জনশূন্য বঙ্গবন্ধুর সমাধি

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বেশ ঘটা করে উদযাপন হতো বিজয় দিবস। বিশেষ করে শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ পুলিশ, প্রশাসন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হতো।

Advertisement

তবে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই প্রথম বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল দেখা গেল জনশূন্য। খা খা করছে সমাধি প্রাঙ্গণে। শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকেও দেখা যায়নি।

সমাধিস্থলের চারপাশে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়। সমাধির তিনটি গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, সমাধির বিভিন্ন সড়কে পড়ে আছে গাছের পাতা। সড়কের টাইলসে পড়েছে শ্যাওলা। বিশ্রামাগার ও সমাধির বিভিন্ন আসবাবপত্রে জমেছে ধুলো। ফুলগাছগুলোও যেন মৃতপ্রায়।

Advertisement

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা দেখভাল করছেন সমাধিটি। তবে সমাধির মসজিদে এখনো রয়েছে খতিব।

রহিজ মোল্লা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর সমাধিস্থলে এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকতো না। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকত সমাধি প্রাঙ্গণ। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই বলে কেউ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি। এছাড়া উপজেলার কোথাও কোনো প্রোগ্রাম করছে না আওয়ামী লীগ।

বঙ্গবন্ধুর সমাধির মসজিদের ইমাম হাফেজ নওয়াব আলী বলেন, অবস্থা বেশি ভালো না। আজকে কেউ সমাধিতে আসেনি। শ্রদ্ধা জানায়নি। ১৬ বছরে আজই প্রথম বিজয় দিবসে এমন জনশূন্য বঙ্গবন্ধুর সমাধি।

ফারহান লাবিব নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বলেন, সমাধিস্থলে কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে চোখে পড়েনি।

Advertisement

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খুরশিদ আলম বলেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সমাধির গেটে পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের চোখে পড়েনি বা শুনি নাই। নিরাপত্তার কারণে সমাধিতে পুলিশ মোতায়েন আছে।

আশিক জামান অভি/জেডএইচ/জেআইএম