সারাক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা, শপিং করে বিল মেটানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রেনের টিকিট কাটা, সিনেমা দেখা সবই সম্ভব এক স্মার্টফোনে। তাই তো বলা যায়, সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে আর কিছুই লাগে না।
Advertisement
দিনের বেশিরভাগ সময় কাটছে স্মার্টফোন নিয়ে। স্মার্টফোন যে কোনো সময় হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হ্যাকাররা ফাঁদ পেতে রাখে। অ্যাপ যতই আন-ইনস্টল করুন বা ফোন রিস্টার্ট দিন না কেন, তাতে হ্যাক হওয়া থেকে মুক্ত হওয়া যায় না।
যদি ফোন হ্যাক হয়েই যায় তাহলে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে যে কাজগুলো করবেন-প্রথমেই ফোনটি ইন্টারনেট কানেকশন মুক্ত করতে হবে। এর পর ফোন বন্ধ করে সিমগুলো খুলে ফেলুন। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে সিমহীন অবস্থায় ফোনের সেটিংয়ে ঢুকে ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ অপশনে ঢুকে সেটি চালু করুন। ফলে আপনার মোবাইল থেকে সব ডাটা মুছে যাবে।
আরও পড়ুন এক চার্জে এই ব্যাটারি চলবে ৫০ বছরতবে এতে একটা ক্ষতি হতে পারে, আপনার মোবাইলে থাকা সব ফোন নম্বর, ছবি, ভিডিও ডিলিট হয়ে যেতে পারে। এর ফলে, আপনার মোবাইলে হ্যাকারদের সেট করে দেওয়া অ্যাপগুলো ডিলিট হয়ে যাবে। এর পর ফোন অন করে নতুন ভাবে অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। এটাই হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
Advertisement
তবে সাইবার ক্রিমিনালরা এমন সব প্রোগ্রামিং কোড লিখে রাখতে পারে, যা ফ্যাক্টরি রিসেটের পরেও ডিলিট হয় না। উল্টে ইন্টারনেট চালু হওয়ার পরে কিছু কিছু অ্যাপ নিজে থেকে ইনস্টলড হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হল, সেটিংস থেকে অ্যাপস মেনুতে প্রবেশ করা। এরপর ‘অ্যাপ লক’ অপশনে ট্যাপ করুন। হাইড করা অ্যাপের জন্য পাসওয়ার্ড দিতে হবে। হিডেন অ্যাপস অপশনে ট্যাপ করুন।
যে সব অ্যাপ হাইড করতে চান, সেগুলি সিলেক্টেড করুন। এতে আপনি যে অ্যাপ হাইড করতে চান, তা সহজে হয়ে যাবে। একটা তথ্য দিয়ে রাখা প্রয়োজন, যখনই বুঝবেন, আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে নিজের সেট থেকে নেট কানেকশন অফ করবেন। তাতে প্রথম অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। আপনার মোবাইল রিমোটে নেওয়ার অপশন বন্ধ হবে। তার পর বাকি সব।
আরও পড়ুন পুরোনো গ্যাজেট বিক্রির আগে যা করা জরুরি ফোনে ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবেসূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
কেএসকে/জিকেএস
Advertisement