একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির নামাজ কাজা হয়ে গেলে জামাতের সঙ্গে কাজা আদায় করা যায় বরং এ রকম ক্ষেত্রে জামাতের সঙ্গেই কাজা পড়া উচিত। নবিজি (সা.) কাজা নামাজ সাহাবিদের নিয়ে জামাতে আদায় করেছেন। হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও কয়েকজন সাহাবি সফরে ছিলেন। বেশি রাতে ঘুমাতে যাওয়ায় তাদের ঘুম থেকে জাগতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে সূর্যোদয় হয়ে যায়। তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ কাজা করেন এবং অন্য সময়ের মতো শব্দ করে কেরাত পড়েন। (কিতাবুল আসার লিলইমাম মুহাম্মাদ: ১৬৮)
Advertisement
এ হাদিস থেকে আরও বোঝা যায়, উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া হয় এমন কোনো নামাজের কাজা হলে কাজা নামাজের জামাতেও উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়তে হয়।
প্রসঙ্গত, যে ব্যক্তির পেছনের কোনো নামাজ কাজা নেই তার যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে ওই কাজা নামাজ আদায় করা জরুরি। কাজা নামাজের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও যদি কাজা আদায় না করেই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে, তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। কাজা পড়ে আবার ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে।
কাজা আদায় করলে যদি ওয়াক্তের নামাজের জামাত ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকে, তবুও আগে কাজা আদায় করতে হবে। তবে ওয়াক্তের সময় খুব কম বাকি থাকলে এবং কাজা আদায় করলে ওই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকলে আগে ওয়াক্তের নামাজ পড়ে নিতে হবে।
Advertisement
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ওয়াক্তের নামাজ (ওয়াক্তের ভেতর) পড়তে ভুলে গেছে, তারপর ইমামের পেছনে (পরবর্তী ওয়াক্তের) নামাজ পড়ার সময় তার ওই নামাজের কথা মনে পড়েছে, সে যেন ইমামের সাথে নামাজটি পড়ে নেয়। এরপর যে নামাজটি পড়তে ভুলে গিয়েছিল তা আদায় করে। তারপর ইমামের সাথে যে নামাজটি পড়েছে তা আবার পড়ে নেয়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ২২৫৪)
এ হাদিসটি থেকে বোঝা যায়, জামাতে নামাজ পড়ার সময় যদি মনে পড়ে, আগের কাজা নামাজ রয়ে গেছে, তাহলে তার জামাতে আদায় করা নামাজটি নফল গণ্য হবে। নামাজ শেষ হওয়ার পর কাজা আদায় করে ওয়াক্তের নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
ওএফএফ/এমএস
Advertisement