শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ (১৪ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
Advertisement
দিনটিকে স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বিভিন্ন স্টাটাসের মাধ্যমে তারা সম্মান জানান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।
আশরাফ জুয়েল লিখেছেন, ‘জাতির সূর্যসন্তানদের জানাই সালাম। আপনাদের আত্মত্যাগ আমাদের দিয়েছে একটা মানচিত্র, স্বাধীন দেশ।’
গাজী মুনসুর আজিজ লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শান্তি কামনা করছি। আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের বহু কৃতি সন্তানকে হত্যা করে। স্বাধীনতার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।’
Advertisement
এইচএম তুহিন লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকল শহীদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’
সাখাওয়াত টিপু লিখেছেন, ‘একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। ফলে সত্য বলতে আমি দ্বিধা করি না।’
মোস্তফা মনন লিখেছেন, ‘এই সময়ের বুদ্ধিজীবী কারা? তাঁদের কাজ কী? আজকের অনেক বুদ্ধিজীবীকে আমরা চিনি না, তবে যাদের বুদ্ধিজীবী ভাবা হয়, তারা বুদ্ধিজীবীর মতো, কিন্তু পুরোপুরি বুদ্ধিজীবী না। এখনকার অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী দলীয় বা গোত্রীয় বা নির্দিষ্ট সংগঠনের নির্বাচিত বয়ানে ঠোঁট মেলায়। অনেকটা ডাবিং আর্টিস্টের মতো। ফলে জনগণের লাভ খুব একটা হয় না। কিন্তু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ ভূমিকা ছিল, মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়েও আপোস করেননি। আপোস ও মৃত্যুর মাঝে মৃত্যুটাকেই বেছে নিয়েছেন।’
মৌসুমী আকতার লিখেছেন, ‘১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির সূর্যসন্তান শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
Advertisement
এসইউ/জিকেএস