চলতি বছর হজে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে প্রাক নিবন্ধন করলেও স্বেচ্ছায় তা বাতিল করেছেন মোট ৮শ’ ৫১ জন হজ গমনেচ্ছু। স্বেচ্ছায় প্রাক নিবন্ধন বাতিলকারীদের মধ্যে সরকারি ২৬ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৮শ’ ২৫ জন রয়েছেন। মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা, মৃত্যু, পারিবারিক ঝামেলা ইত্যাদি কারণে এ সকল গমনেচ্ছু স্বেচ্ছায় প্রাক নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে জানিয়েছেন। এজেন্সিগুলো আবার সেই হিসাব ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানায়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, আগামী ২০ মে পর্যন্ত হজ গমনেচ্ছুরা প্রাক নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন। ইতোমধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সিগুলোকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি মোট ৪৮০ বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে লক্ষাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু হজে যাবেন। ই-হজ পদ্ধতিতে বিপুল সংখ্যক হজ গমনেচ্ছুদের নির্বিঘ্নে হজ পালনে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যউপাত্ত থাকা প্রয়োজন। এ জন্য প্রাক নিবন্ধনকারীদের বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি পর্যায়ে ৪ হাজার ৩শ’৭৮ জন ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯১ জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন। তারমধ্যে ৯৭ হাজার ৩শ’৪০ জন পুরুষ, ৪৮ হাজার ৬শ’ ৭৮ জন মহিলা, ১ হাজার ৩শ’ ৮৩জন ১৮ বছর বয়সের নীচে ও ১ হাজার ১শ’ ২৬ জন প্রবাসী রয়েছেন। সৌদি সরকার চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের কোটা বরাদ্দ রেখেছে। বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭শ’ ৫৮ জনের কোটা থাকলেও তারমধ্যে হজ গাইড ও অন্যান্য সহায়কসহ মোট ৩ হাজার ৫শ’ ৭১ জন বাদ দিয়ে চলতি বছর বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৮৮ হাজার ১শ’ ৮৭ জন হজে যেতে পারবেন।স্বেচ্ছায় প্রাক নিবন্ধন বাতিল করায় অন্যান্য প্রাক নিবন্ধনকারীদের মধ্যে থেকে সিরিয়াল মেনে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত করা হবে বলে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। এমইউ/এসকেডি/এমএস
Advertisement