আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার অর্থনৈতিক সংকট ও করণীয়

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই দুর্বল ছিল অর্থনীতি। এরপর দীর্ঘ সংঘাতের কারণে সংকট আরও গভীর হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে সিরিয়ান পাউন্ডের মূল্য কমে ১৪১ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯৩ শতাংশ। এমন পরিস্থিতে দেশটিতে সরকারি ভর্তুকি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

Advertisement

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র, ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। তাছাড়া ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের শিকার।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে কুর্দিশ বিদোহীদের দখলে থাকা তেলক্ষেত্রগুলোকে দখলে নিতে হবে নতুন প্রশাসনকে।

পাশাপাশি সিরিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা যাতে তুলে নেওয়া হয় সে ব্যাপারেও পশ্চিমাদের রাজি করাতে হবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাকান ফিদান বলেছেন, তার দেশের অগ্রাধিকার হলো সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য বিস্তার বন্ধ করা।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

Advertisement