ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে সাংবাদিকের ভিডিও ধারণে বাধা, দায় নেবে না ছাত্রদল

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) মিছিলের ভিডিও করার সময় সাংবাদিককে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিচয়ে মিছিল চলাকালীন সাংবাদিক ভিডিও ধারণ করতে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ তানিমকে বাধা দেন ছাত্রদল কর্মী রেজোয়ান ইসলাম সাদ।

Advertisement

এদিন শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং ছবি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। রাতে এ অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিচয়ে অন্য একটি অংশ মিছিল করে। মিছিলে সাংবাদিক ভিডিও করতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাসনিম আহমেদ তানিম বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য প্রকাশ করা এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আলোচনায় নিয়ে আসা। কোনো সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাধা দেওয়া বা তার কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।

তবে অভিযুক্ত রেজোয়ান ইসলাম সাদের দাবি, সেখানে অন্ধকার ছিল, বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। আর আমি তাকে চিনতে পারিনি। এজন্য ভিডিও বন্ধ করতে বলেছিলাম।

Advertisement

উল্লেখ্য, সাদকে অতীতে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় দেখা গেছে। সংগঠনটির কর্মী কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, আমি ছাত্রদলের কর্মী না, তবে মৌনসম্মতি আছে।

এ বিষয়ে শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর কবীর বলেন, সাংবাদিকদের কাজে যদি কেউ বাধা দেয় তবে তাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থন করবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল স্বাধীন দেশে সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করবে এই নীতিতে বিশ্বাসী। এখানে কেউ কারো ভালো কাজে বাধা প্রদান করবে না। ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের কেউ যদি এ কাজ করে থাকে তবে তা একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। আমরা এগুলো জাস্টিফাই করবো, তার সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলবো এবং তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেবো। পরে দায়িত্বশীলদের সবাই বসে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরফান আলী বলেন, সাংবাদিকদের কাজই হলো ছবি তোলা এবং ভিডিও করা। সে হিসেবে সাংবাদিককে তার কাজে বাধা সৃষ্টি করা কোনভাবেই সমীচিন নয়।

সাইদ আহম্মদ/কেএএ/

Advertisement