জাতীয়

মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ পাবেন ৮০০ চাষি

স্থানীয়ভাবে মাছের উৎপাদন বাড়ানো এবং এ খাতের বিকাশে ৮০০ জন মৎস্য চাষির দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস। ফুডটেক বাংলাদেশ (FoodTech Bangladesh) নামে এ প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রমটির অংশ হিসেবে এরই মধ্যে চারটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।

Advertisement

খুলনা, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে এই কেন্দ্রগুলি স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি কেন্দ্রে ২০০ জন করে মোট ৮০০ জন মৎস্য চাষিকে নেদারল্যান্ডসের আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এই দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কর্মসূচির লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে খুলনার রূপসীতে একটি কেন্দ্র নির্মাণ ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মাঝিয়ালীতে একটি কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি রূপসী কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কারস্টেন্স।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্দ্রে কারস্টেন্স দুদেশের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বলেন, সেন্টার অব এক্সিলেন্স (CoE) টেকসই কৃষিকাজ এবং কার্যকর আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের দৃষ্টান্ত  হিসেবে নতুন মাত্রা লাভ করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

সাগরে ইলিশ নেই, দুশ্চিন্তায় জেলেরা মৎস্যখাত চরম বৈষম্যের শিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মৎস্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. ইফতাখারুল আলম, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, লাইটক্যাসল পার্টনারসের পরিচালক জাহেদুল আমিন, ভিকন ওয়াটার সলিউশনের মালিক ভিক্টর বিয়ারবুমস ও অন্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে ড. ইফতাখারুল আলম ডাচ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন

কাজী ইনাম আহমেদ টেকসই জলজ চাষে প্রযুক্তির রূপান্তরমূলক ভূমিকা তুলে ধরেন। জাহেদুল আমিন, অ্যাকুয়াকালচার ভ্যালু চেইন বাড়ানোর ক্ষেত্রে জ্ঞান স্থানান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

Advertisement

খুলনায় স্থাপিত কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় ২০০ জনের বেশি মৎস্য চাষিকে মাছ চাষে উৎসাহিত করতে দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নেদারল্যান্ডসের কৃষি প্রযুক্তির সহায়তায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এই রকম একটি পদ্ধতি হচ্ছে: রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (RAS); যা খামার পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এতে চাষের সর্বোচ্চ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ছোট পুকুরে মাছ চাষের অনুশীলন সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এই সেন্টার অব এক্সিলেন্সে (সিওই) বিশেষ প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।  এর মাধ্যমে দর্শকরা এই প্রযুক্তিগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবে।

ফুডটেক বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডসের ভিকন ওয়াটার সলিউশন এবং ডি হিউস অ্যানিমাল নিউট্রিশন এবং বাংলাদেশের জেমিনি সিফুড অ্যান্ড ফিশটেক লিমিটেড। ফুডটেক প্রকল্প ও  অংশীদারদের লক্ষ্য- উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত খামার ব্যবস্থাপনা অনুশীলন এবং মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও কৃষকদের প্রযুক্তিগত কর্মক্ষমতা বাড়ানো।

এসআরএস/এমকেআর