গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণবাহী ট্রাকের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ১২ নিরাপত্তারক্ষীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাফায় বিমান হামলার ঘটনায় সাত নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাকি পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন খান ইউনিসে।
Advertisement
তবে এই দুই এলাকায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। গাজায় বিভিন্ন সময়ে ত্রাণবাহী ট্রাক এবং এর দায়িত্বে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ হামলায় প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই শিশু।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা আনরোয়ার বিভিন্ন গুদামে সংরক্ষণের জন্য ময়দা নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক হামলার শিকার হয়।
গাজাজুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সব ধরনের সেবা কার্যক্রম ধ্বংস করে দেওয়ার লক্ষ্যে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আসাদের পতনে কীভাবে লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল? সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরার আহ্বান নতুন প্রধানমন্ত্রীরবেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ আরও ২১ জন নিহত হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন