দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি স্বাদের খাবার নিয়ে শুরু হচ্ছে টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল সিজন-২। আগামীকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে এ ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে। যা চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের আয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক ৬২টি স্টল বাহারি ও ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে মেলায় অংশ নেবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো বনানীতে এটি আয়োজন করে। যেখানে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। টেস্ট অব বাংলাদেশের প্রথম আয়োজন ঢাকার খাবারপ্রেমী দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে এর খাদ্য বৈচিত্র্য, ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা এবং বাহারি স্বাদের জন্য। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবারের টেকসই রূপদান, বাংলাদেশি খাবার বিষয়ে সচেতনতা, গ্যাস্টোনমি ট্যুরিজমের প্রসার এবং অঞ্চলভিত্তিক বৈচিত্র্যময় খাবার দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরতে এ ফেস্টিভাল আয়োজন করা হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ চারদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
বনানীতে ৩ দিনের ‘মুজিবস বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল’ দেশে বসেই মালয়েশিয়ান খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে হোটেল শেরাটনেএবারের আয়োজ়নে ঢাকার বিউটি লাচ্ছি; লালবাগের কাচ্চি বিরিয়ানী; ফাইজানে মদিনার বিখ্যাত বোবার বিরিয়ানী; বাকরখানী; বিসমিল্লার কাবাব; কুমিল্লার রসমালাই; খুলনার চুইঝাল, শেরপুরের ছানার পায়েশ ও তুলসীমালার চাল; বিখ্যাত রাজা-চা; ছোটন মামার ফায়ার পান; হাসের মাংস, ছিটারুটি; যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা; বগুড়ার দই, ক্ষীরসা; কক্সবাজারের সি-ফুড; পার্বত্য চট্টগ্রামের বেম্বো চিকেন; চট্টগ্রামের মেজবান; বরিশালের রসচুসি, দুধচিতই, পাটিসাপটা, পোয়াপিঠা, বেনিপিঠা, জামাইপিঠা, তালেরপিঠা, বউসুন্দরী, লবঙ্গ লতিকা, হৃদয়হরণ, ইলিশপিঠা, ভাপাপুলি; মোরগ পোলাও, তেহারী ও বোরহানী; ফুচকা ও হালিম; ডাবের পুডিং, নাটোরের কাচাগোল্লা ও সন্দেশ; মৌলভীবাজারের মনিপুরি হাইনা চা ও খাবার; রাজশাহীর কালাইরুটি, হাসের মাংসের স্বাদ নেওয়া যাবে। এছাড়াও হাল আমলের পাচ তারকা মানের হোটেল যেমন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও, শেরাটন ঢাকা তাদের বাংলাদেশি কুজিনকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করবে। এছাড়াও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের বাহারি খাবার নিয়ে অংশ নেবে। তরুণ প্রজন্মের খাবার নিয়ে এখানে থাকবে Gen Z Hangout কর্নার। ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি খাবারের আয়োজনের সঙ্গে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। চারদিনব্যাপী আয়োজনে বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা যেমন- রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা, কুদ্দুস বয়াতির গান, পুথি পাঠ, অঞ্চলভিত্তিক খাবার নিয়ে বিতর্ক, বাউল সংগীত, কাওয়ালি, পুতুল নাচ, পাহাড়ি নৃত্য, জেলে, সাপুড়ে, মাঝিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের যৌথ নৃত্য পরিবেশনা, ব্যান্ড সংগীত, র্যাফেল ড্র, লাইভ কুকিং কম্পিটিশন ইত্যাদি। এছাড়াও অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্যের কর্নার, বাদ্যযন্ত্র কর্নার, বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশি খাবার নিয়ে থাকবে মজার অভিজ্ঞতা।
টেস্ট অফ বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গুলশান জ়োন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বনানী সোসাইটি সহযোগিতা করছে। এছাড়া অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে স্পেলাবাউন্ড কমিনিউকেশন লিমিটেড, আইস্ক্রিম পার্টনার পোলার আইসক্রিম, করপোরেট পার্টনার রানার অটোমোবাইল ও আর আর ক্যাবল, ইভি পার্টনার বিওয়াইডি, হসপিটালিটি পার্টনার প্যান পাসিফিক সোনারগাঁও এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা ও কালচারাল পার্টনার কালচারাল ক্লাসিকিস্ট ভূমিকা রাখছে।
এমএমএ/এমকেআর
Advertisement