অর্থনীতি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতন

টানা দরপতন চলছে দেশের শেয়ারবাজারে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (১২ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।  

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।  

টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।  

তবে দুপুর ১২টার পর দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত চলে এই ধারা। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়েছে, অন্যদিকে সবকয়টি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।  

Advertisement

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৮টির এবং ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।  

আরও পড়ুনশেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন ডিএসইর মৃত দুই পরিচালককে তলব করলো বিএসইসি 

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।  

মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।  

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সায়হাম কটনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।  

Advertisement

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ড্রাগন সোয়েটার, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, ওরিয়ন ফার্মা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, রিলায়েন্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম এবং বেক্সিমকো ফার্মা।  

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৫টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার।  

এমএএস/কেএসআর