ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পরিচালক ক্রিসটোফার রে। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। এরপর তিনি পরবর্তী মার্কিন সরকারের বিভিন্ন পদে তার মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আগামী মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ক্রিসটোফারকে বরখাস্ত করবেন।
Advertisement
বুধবার এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে ক্রিসটোফার জানান, তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। তিনি এই পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে এফবিআই-এর নতুন পরিচালক হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই পদে যোগ দেবেন তিনি।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল ট্রুথে লিখেছেন, কাশ একজন চমৎকার আইনজীবী, তদন্তকারী ও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা। দুর্নীতি উন্মোচন, ন্যায়বিচার এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছেন তিনি। গত বছরই এক অনুষ্ঠানে কাশ প্যাটেলকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তৈরি হও কাশ, তুমি তৈরি হও।
Advertisement
এছাড়া প্রথম মেয়াদে কাশ প্যাটেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কর্মকর্তা ছিলেন কাশ। তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চিফ অব স্টাফও ছিলেন তিনি।
১৯৮০ সালে নিউ ইয়র্কে কাশ প্যাটেলের জন্ম। বেড়ে উঠেছেন গার্ডেন সিটিতে। তার প্রকৃত নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল। তার বাবা-মা দুজনই গুজরাটি। তারা থাকতেন কানাডায়, পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
অপরদিকে ২০১৭ সালে ক্রিসটোফারের নিয়োগও ট্রাম্পের হাতেই হয়েছে। তিনি ১০ বছরের জন্য তাকে এই পদের জন্য মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তবে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় এফবিআইয়ের তদন্তের বিষয়ে রিপাবলিকানদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিস্টোফারকে।
আরও পড়ুন: এফবিআই প্রধান হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিরত থাকতে বললো রাশিয়াবুধবার এফবিআই-এর বৈঠকে ক্রিস্টোফার রে বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই সংস্থার জন্য আমার সঠিক সিদ্ধান্ত হলো জানুয়ারিতে বর্তমান প্রশাসনের শেষ সময়কাল পর্যন্ত কাজ করা এবং তারপরেই পদত্যাগ করা।
Advertisement
টিটিএন