এখন হৃদরোগের সমস্যা ঘরে ঘরে। কমবয়সীদেরও হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আরও বাড়ে।
Advertisement
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ভাজাভুজি ও তেল-মসলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এছাড়া শরীরে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টির ঘাটতির কারণেও হৃদরোগ হতে পারে। বিশেষ করে ৫ ধরনের পুষ্টির ঘাটতি আছে যাদের শরীরে, তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি শরীরে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ডিমের কুসুম, স্যালমন, টুনা ও ফোর্টিফাইড কমলালেবুর রসের মতো খাদ্যগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।
Advertisement
ম্যাগনেশিয়াম
ম্যাগনেশিয়ামের অভাবে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়, বেড়ে যেতে পারে হৃদস্পন্দনের হার। ম্যাগনেশিয়াম শারীরের নানা কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে এই খনিজটির অভাব হলে অবসাদ, ক্লান্তি, প্রদাহ, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন শীতে ঘুম থেকে উঠে যা করলে কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি শীতে জ্বরঠোসা হলে সারাবেন কীভাবে?চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগ ‘অ্যারিদমিয়া’ নামে পরিচিত। এই সব উপসর্গই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তাই ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন পালং শাক, স্যালমন, অ্যাভোকাডো, কলা, টকদই, বিভিন্ন বাদাম ও বীজ।
ক্যালশিয়াম
Advertisement
ক্যালশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্যালশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খনিজের অভাবে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। দই, দুধ, ফোর্টিফাইড সিরিয়াল ও সয়াবিনের মতো ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন।
পটাশিয়াম
পটাশিয়াম গবেষণা বলছে, পটাশিয়ামের অভাবে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা বা অ্যারিদমিয়া নামের রোগ দেখা দিতে পারে। হাড় ও পেশির সমস্যাও দেখা দেয়। নিয়মিত আলু, কিডনি বিনস, কলা, অ্যাভোকাডো, দুধ, স্যালমন ও টুনার মতো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খান। তবে শরীরে পটাশিয়াম বেশি হয়ে গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ভিটামিন বি
গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফোলেট ও ভিটামিন বি ৬ থাকলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে। ভিটামিন বি ১২ ও বি ৯ ও হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বি ভিটামিন শরীরে নতুন লাল রক্ত কোষ তৈরিতে সহায়তা করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
জেএমএস/এএসএম