বেওয়াচের বালুকাময় সৈকত থেকে সাঁতারের পোশাকটি এখন লন্ডনের ডিজাইন মিউজিয়ামের একটি সম্মানজনক প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে। কে ভেবেছিল একটি স্যুইমস্যুট কখনো এতো আলোচিত হবে! শতাব্দীর অন্যতম ফ্যাশন আইকন হয়ে উঠবে।
Advertisement
পামেলা অ্যান্ডারসন ১৯৮৯ সালে ‘বেওয়াচ’ শোতে সিজে পার্কার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তিনি লাল রঙের স্যুইমস্যুটটি পরেছিলেন। সেই স্যুট ও শোটি তার ক্যারিয়ারের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। এই লাল স্যুইমস্যুটটি পরেই অ্যান্ডারসন জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং এটি দ্রুত একটি আইকনিক পোশাক হয়ে ওঠে।
বেওয়াচ শোটি ১৯৮৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছিল। সে সময় পামেলার স্যুইমস্যুটটি হয়ে উঠেছিল লাস্যময়ী এবং শক্তিশালী নারী চরিত্রের প্রতীক। অ্যান্ডারসন তার স্যুইমস্যুটের মাধ্যমে শুধু শোতে নয়, বাস্তব জীবনেও বিশ্বের অন্যতম পপ কালচার আইকন হয়ে ওঠেন। স্যুইমস্যুটটিও শুধুমাত্র টিভির পর্দায় না, জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছিল মডেলিং, ফ্যাশন এবং ম্যাগাজিন কভারে।
সেই বিখ্যাত লাল স্যুইমস্যুট আবারও আলোচনায় এসেছে। লন্ডনের ডিজাইন মিউজিয়ামে ‘স্প্লাশ! এ সেঞ্চুরি অব স্যুইমস্যুট এন্ড স্টাইল’ নামে একটি সম্মানিত প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। এটি স্যুইমওয়ারের ইতিহাস ও বিকাশকে উদযাপন করতে আয়োজিত হচ্ছে। এখানেই অ্যান্ডারসনের কিংবদন্তি স্যুইমস্যুটটি বিশেষভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে।
Advertisement
এটি জার্মানির বিকিনি আর্ট মিউজিয়াম থেকে ধার করে আনা হয়েছে প্রদর্শনীতে দেখানোর জন্য। এক সময় এটি ছিল ডেভিড হাসেলহফের ব্যক্তিগত সংগ্রহের অংশ। দর্শকরা এখন এটি দেখতে পাবেন।
প্রদর্শনীতে আরও অনেক চমৎকার জিনিস রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ্য জাহা হাদিদের ডিজাইন করা লন্ডন অ্যাকুয়াটিকস সেন্টারের একটি মডেল এবং ১৯২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের সোনালী পদক।
এলএ/জিকেএস
Advertisement