এখন সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক ঘন ঘন হয় উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ঘন ঘন ক্রয় কমিটির মিটিং করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি বিষয় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত এটা তার একটা প্রমাণ। এত ঘন ঘন মিটিং আমি আগে দেখিনি।
Advertisement
তিনি বলেন, বাজারে আলুর দাম বাড়লেও, অন্য জিনিস সাশ্রয়ী হয়েছে। দাম বাড়ার বিষয়টি সবাই বলে, কিন্তু দাম কমারটা বলে না। বাজারে প্রত্যেকটার দাম কমানো সম্ভব নয়। বাজার এমন একটা জিনিস একটার দাম কমবে, একটার দাম বাড়বে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। এলএনজি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।
Advertisement
তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে একটি মিস কনসেপশন (ভুল ধারণা) আছে, সেটা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, প্রতি টনে সয়াবিন তেলের দাম কত বেড়েছে, ৩০-৪০ বছরে এত দাম বাড়েনি। যাই হোক আন্তর্জাতিক বাজার তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন ও মাদরাসার। পাঠ্যবই আমরা দ্রুত চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো পারবে না।
শিক্ষার্থীরা আগামী ১ জানুয়ারি কি বই পাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ যেটা আমরা অনুমোদন দিয়েছি, সেটা তারা অলরেডি কাজ শুরু করে দিয়েছে। অনেক ব্যস্ত প্রেস, চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আপনারা যেভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব যে একেবারে নেই তা নয়। আপনারা খালি দেখেন আলুর দাম বেড়েছে, অন্যগুলো যে সাশ্রয়ী হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আপনি বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে যান কোনোটার দাম বেশি হবে, কোনোটা কম হবে। প্রত্যেকটার দাম কমতে হবে, এটা ডিফিকাল্ট।
এমএএস/এমআরএম