দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলের সামরিক আইন ঘোষণার তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযান চালানো হয়। এদিকে, এই ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জেলখানায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
Advertisement
প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের সামরিক আইন ঘোষণায় জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম এবং দেশটির জাতীয় ও সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধানদের।
কোরিয়া সংশোধন পরিষেবার কমিশনার-জেনারেল শিন ইয়ং-হায় বলেছেন, সংসদীয় শুনানির সময় সংশোধন কর্মকর্তারা কিমের আত্মহত্যার চেষ্টা থামিয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
দক্ষিণ কোরীয় বিচারমন্ত্রী পাক সং-জে কিমের আত্মহত্যার চেষ্টা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসিকিউটরদের আবেদনের ভিত্তিতে সিউল কেন্দ্রীয় জেলা আদালত ওয়ারেন্ট জারির পর গ্রেফতার হন কিম। আদালত বলেছে, আমরা অভিযোগের ভিত্তি, অপরাধের গুরুত্ব এবং সাক্ষ্য নষ্ট করার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করছি।
বিদ্রোহের অভিযোগে আটক হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পুলিশ কমিশনার-জেনারেল চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান কিম বং-সিকও। আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানোর আগে তাদের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে রাখা যেতে পারে।
এদিকে, সামরিক আইন জারির ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইয়ুনকে অভিশংসনের জন্য আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। ইয়ুনের পিপল পাওয়ার পার্টির অধিকাংশ সদস্য ভোট বয়কট করায় বিরোধীদের প্রথম অভিশংসনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
Advertisement
যদি দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব সফল হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানিক আদালত ইয়ুনের অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এরই মধ্যে ইয়ুনের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সামরিক আইন জারি ছাড়াও তিনি আরও কিছু অভিযোগের তদন্তের আওতায় রয়েছেন। জাতীয় পরিষদ সম্প্রতি ইয়ুন এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন বিশেষ উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেওয়ার একটি বিল পাস করেছে।
গত ৩ ডিসেম্বর ইয়ুন হঠাৎ সামরিক আইন ঘোষণা করলে দক্ষিণ কোরিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রত্যাহার করেন।
সূত্র: আল জাজিরাকেএএ/