আন্তর্জাতিক

ভারতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ১৮৫ বছরের পুরোনো মসজিদের একাংশ

ভারতের উত্তর প্রদেশে ১৮৫ বছরের পুরনো একটি মসজিদের একাংশ ভেঙে ফেলার ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, মসজিদটির ওই অংশ বন্ধা-বাহরাইচ মহাসড়কের ওপর অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।

Advertisement

ফতেহপুর জেলার এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে, যার কয়েকদিন আগেই ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল, বুলডোজার ব্যবহার করে স্থাপনা ভাঙা আইনি শাসনব্যবস্থার নীতি-বিরুদ্ধ।

জেলা প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, মসজিদের ভাঙা অংশটি গত দুই-তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে স্যাটেলাইট চিত্রসহ ঐতিহাসিক প্রমাণ ব্যবহার করে অংশটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

ভারতে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে সাজানো হয় হিন্দু নির্যাতনের সাক্ষাৎকার সত্য তুলে ধরায় ভারতে ফ্যাক্ট-চেকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনা পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন

জনপথ বিভাগ (পিডব্লিউডি) দাবি করেছে, মসজিদের কিছু অংশ রাস্তার সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করছিল। গত ১৭ আগস্ট অবৈধ নির্মাণ সরানোর জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল।

তবে নূরী মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মঈন খান জানিয়েছেন, মসজিদটি ১৮৩৯ সালে নির্মিত হয় এবং মহাসড়কটি তৈরি হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। কিন্তু তারপরও পিডব্লিউডি মসজিদের কিছু অংশকে অবৈধ বলে দাবি করছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ ত্রিপাঠী বলেছেন, মসজিদের অংশটি সম্প্রতি নির্মিত এবং দখলদারি হওয়ায় এটি ভেঙে ফেলা হয়। তিনি বলেন, মসজিদের পুরোনো অংশ অক্ষত রয়েছে। পরিচালনা কমিটিকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল এবং তারা মসজিদের সংযুক্ত দোকান সরিয়ে নিয়েছে।

লালাউলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্রজভান রাই বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে জানিয়েছেন, মহাসড়কের সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টিকারী প্রায় ২০ মিটার অংশ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/