অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজাও স্থগিত করা হয়েছে।
Advertisement
একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিত দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
শিগগির তারেক রহমান দেশে আসছেন: মির্জা আব্বাসএর আগে এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আইনজীবীরা জানান, সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Advertisement
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম