জাতীয়

ড্যাপকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে ৭ দাবি ঢাকার ভূমি মালিকদের

ড্যাপকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে ৭ দাবি ঢাকার ভূমি মালিকদের

ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনসহ সাতটি দাবি তুলে ধরেছেন রাজধানী ঢাকার ভূমি মালিকরা। তারা বলছেন, ড্যাপে ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এরিয়ায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশকে অপরিকল্পিত এরিয়ার ‘ট্যাগ’ দেওয়া হয়েছে। এভাবে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস করে দেওয়া হয়, যেন ঢাকার প্রকৃত ভূমি মালিকরা কোনোভাবেই ভবন নির্মাণ করতে না পারে।

Advertisement

রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ড্যাপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি মালিক’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব কথা বলা হয়। ওই প্ল্যাটফর্মের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অধ্যাপক ড. দেওয়ান এস এ সাজ্জাদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার নামে বিগত সরকারের আমলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২ সালে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়৷ ঢাকার বহুবিধ সমস্যা পাশ কাটিয়ে শুধু ভবন নির্মাণের উচ্চতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ড্যাপ প্রণয়ন করায় নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

বক্তারা বলেন, ড্যাপের বৈষম্যের কারণে আমরা নগরবাসী নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে গেলে দেখতে পাচ্ছি একই জমিতে আগে যেখানে ১০ তলা ভবন হতো এবং যে আয়তন পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৫ তলা ভবন ও অর্ধেক আয়তন পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমরা ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছি।

Advertisement

‘যে জমিতে ১০ তলা ভবন হতো- সেখানে এখন ৫ তলা হবে; এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রকৃত ভূমি মালিকদের ঢাকার বাইরে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে’- বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাত দফা দাবি জানায় ভূমি মালিকদের এই প্ল্যাটফর্ম। এরমধ্যে ঢাকার সব এলাকায় ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ছিল প্রধান দাবি।

ওই বিধিমালা অনুযায়ী, জমির সামনের রাস্তার প্রশস্ততা হিসেবে যত তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যায় তা দেওয়া; ঢাকার সব রাস্তা কমপক্ষে ২০ ফুট প্রশস্ত করা; জলাশয়, খাল-বিল, নদীনালা ভরাট বন্ধ করা; ধানি জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করা; নির্মাণ অনুমোদন সহজ করা এবং রাজউকের হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।

ইএআর/এমকেআর/জিকেএস

Advertisement