ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কার করে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।
Advertisement
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নুজিয়া হাসিন রাশা বলেন, কেবলমাত্র পাঁচ বছর পর জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুধু গণতন্ত্র কায়েম হয় না। একটা দেশে গণতন্ত্র আনতে শিল্প-কারখানা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র চর্চা থাকার পাশাপাশি প্রতিনিধি নির্বাচন থাকতে হয়। স্বৈরাচার এরশাদের পর ডাকসু নির্বাচন বন্ধ হয় যায়, বিগত ১৫ বছরে কোনো সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচন নেই।
তিনি বলেন, সবশেষ ২০১৯ সালে যে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন না হয়, গণতন্ত্র কখনোই ফিরবে না। প্রতিনিয়তই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আমরা তোমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু কারা এই প্রতিনিধি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা কি আমাদের প্রতিনিধি, তাদের কি আমরা নির্বাচিত করেছি?
Advertisement
এসময় তিনি অবিলম্বে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্থার করে অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। এছাড়া অবিলম্বে ঢাবিতে ‘ডাকসু কী এবং কেন চাই, এ নিয়ে আলোচনা’র আয়োজন করা হবে বলেও জানানো হয়।
সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সামি আবদুল্লাহ বলেন, আমরা একটি বিপ্লবের মধ্যে যাওয়ার পরও আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসার পর তারা বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নিলেও ডাকসুর বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হলে আবাসন সংকট থেকে শুরু করে বিভাগগুলোর সমস্যা রয়েছে গেছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসনে ডাকসুর গণতন্ত্রে ক্ষমতা কাঠামো সংস্কার করে অবিলম্বে যেন ডাকসু নির্বাচন দেওয়া হয়।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএ/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement