বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ভারত। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ, মিছিল হচ্ছে ভারতজুড়ে। হামলা হয়েছে আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে। যদিও বাংলাদেশ বারবার বলছে, ভারতের উত্থাপিত সব অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রয়োজনে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি সচক্ষে দেখে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তাতেও কমেনি উত্তেজনা। তবে বাংলাদেশ থেকে ফেরত যাওয়া ভারতীয় ট্রাকচালকরা ঠিকই বলছেন, দেশটির পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
Advertisement
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পেট্রাপোল বন্দরে কথা হয় কয়েকজন ভারতীয় ট্রাকচালকের সঙ্গে, যারা পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তারা জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালোই রয়েছে। তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। রাস্তায় কাউকে চাঁদাও দেওয়া লাগেনি।
এক ট্রাকচালককে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন? জবাবে তিনি বলেন, সব কিছু স্বাভাবিক। কোনো সমস্যা নেই। সব কিছু ভালো চলছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
ফেরার পথে কাউকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, কাউকে টাকা দেওয়া লাগেনি।
আরেক ট্রাকচালক বলেন, সব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওখানে আপনার কোনো সমস্যা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, হয়নি।
এদিকে, বিক্ষোভের মুখে সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশের পাশাপাশি বড় ক্ষতির শিকার হবেন ভারতের ব্যবসায়ীরাও। এ নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে বনগাঁ পেট্রাপোল স্থল বন্দরে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা কার্তিক চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, আমদানি-রপ্তানি না হলে বাংলাদেশের যেমন লস-লাভ হয়, আমাদেরও তেমন। আমাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ জড়িত এর সঙ্গে। এটা তাদের জীবিকার ব্যাপার।
Advertisement
আরও পড়ুন>>
বাংলাদেশি জানলেই আগরতলায় করা হচ্ছে হয়রানি সিলেটের ৩ বন্দর-স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আগরতলায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সেবা বন্ধবর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের মধ্যে যেসব বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, তারা সবাই আতঙ্কিত। রপ্তানি ধীরে ধীরে কমছে। বড় বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানি বলেছে, তাদের অর্ডার অনেকটা কমে গেছে। আগে এক হাজার টন মালের অর্ডার থাকলে সে জায়গায় এখন মাত্র ৫০ টন মাল নিচ্ছে কোনো রকমে চালানোর জন্য।
কার্তিক চক্রবর্তী আশাপ্রকাশ করেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই ভালো হবে। তারপরই দুই দেশের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়ানো যায়।
ডিডি/কেএএ/