বর্তমানে হাল ফ্যাশনে বাদামিরঙা বা ব্রাউন কালারের জুতার কদর অনেক। সব ধরনের পোশাক বা আউটফিটের সঙ্গে বাদামিরঙা জুতা বেশ মানিয়ে যায়। জানলে অবাক হবেন, অতীতে বাদামিরঙা জুতার কদর একেবারেই ছিল না।
Advertisement
তখন কালো রঙের জুতার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এ কারণে ব্রাউন কালারের জুতা ছিল কম মর্যাদাসম্পন্ন, অর্থাৎ যারা এই রঙের জুতা পরতেন, তাদের দেখলে অনেকেই উপহাস করতে। তবে সময়ের পালাক্রমে কালো জুতার পরিবর্তে বাদামি জুতা ফ্যাশনে অনবদ্য হয়ে ওঠে। যা এখনো চলমান।
আজ কিন্তু বাদামিরঙা জুতা পরার দিন। প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর পালিত হয় ব্রাউন সু দিবস। বাদামিরঙা জুতার জনপ্রিয়তা বাড়াতেই দিবসটি পালিত হয়। কারণ এককালে এই রঙের জুতা ছিল অবহেলিত। তবে যারা কালোরঙা জুতা পরে একঘেয়েমী হয়ে ওঠেন, তারা পরবর্তী সময়ে বাদামি রঙের জুতা পরা শুরু করেন। এরপর থেকেই মূলত এই রঙের জুতার কদর বেড়েছে।
জানা গেছে, অতীতে বাদামি জুতাগুলো ট্যানড চামড়া দিয়ে তৈরি করা হত। পরবর্তী সময়ে কালো ও অন্যান্য রঙের রঞ্জক আবিষ্কার হওয়ার পর বাদামিরঙা জুতারে চাহিদা একেবারেই ছিল না। সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল কালো রঙের জুতার। ৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ইউরোপে, বিভিন্ন ধরনের ও রঙের নতুন জুতার ব্যবহার বাড়তে থাকে।
Advertisement
আরও পড়ুন
ফুসফুসের ক্ষতি এড়াতে কী করবেন? বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন?তখনকার সময় কৃষকশ্রেণি ও নিম্নআয়ের মানুষেরা বাদামি রঙের জুতা পরতেন, কারণ সেগুলোর দামও ছিল কম। এমনকি এটি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে, ‘শহরে কোন বাদামি নয়’ এর মতো বাক্যের ব্যবহারও ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাল ফ্যাশনে ঠিকই জায়গা করে নেয়, বাদামিরঙা জুতা।
তবে ‘ব্রাউন শু পরিধান দিবস’ এর সঠিক উত্স আজও অজানা। ধারণা করা হয়, কেউ একজন বাদামিরঙা জুতার চাহিদা বাড়াতেই এই দিবসের প্রচলন ঘটান। যিনি কালো রঙের জুতা পরতে পরতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন! ১৯৫০ সাল থেকে বাদামি জুতার চাহিদা বাড়তে থাকে বিশ্বজুড়ে। চাইলে আপনিও আজ দিবসটি উদযাপনে পরতে পারেন ব্রাউন কালারের জুতা।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
Advertisement
জেএমএস/এমএস