আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে বরাবরই একটু বাড়তি উত্তেজনা থাকে; কিন্তু বৃহস্পতিবার সে উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও পাওয়া গেল না। একপেশে ম্যাচে আবাহনীকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিল চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান। এ জয়ে গত মৌসুমে দুই হারের দারুণ প্রতিশোধ নিল তারা। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করলো মোহামেডান। অপরদিকে ছয় ম্যাচে এটি আবাহনীর এটি তৃতীয় পরাজয়।আবাহনীর দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে মোহামেডান। তবে প্রথম ওভারে আঙ্গুলে ব্যাথা পাওয়া সৈকত আলী পঞ্চম ওভারে দলীয় ১৯ রানে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন। এরপর উপুল থারাঙ্গাকে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার ইজাজ আহমেদ। ৭৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা।দলীয় ৯৭ রানে ইজাজের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (১৭)। এরপর নাঈম অপরাজিত ৬৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উপুল থারাঙ্গা। শেষ পর্যন্ত ৪৩.৫ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে জয় পায় মোহামেডান।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা। ১০৫ বল মোকাবেলা করে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬৮ বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ইজাজ করেন ৪২ রান। এছাড়া নাঈম ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। আবাহনীর পক্ষে তাসকিন আহমেদ ও অমিত মজুমদার ১টি করে উইকেট নেন। এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে তারা। মাত্র ১৫ রানেই শীর্ষ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর ভারতীয় তারকা মানভিন্দর সিং বিসলাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৭ রান সংগ্রহ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬২ রানে বিসলার বিদায়ের পর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে তারা। তবে দলীয় ১০০ রানে এনামুল জুনিয়রের বলে আউট হন শান্ত। এরপর ১১৭ রানে সৈকত ও সাকলাইন সজীবকে হারিয়ে দারুণ বিপর্যয়ে পরে তারা। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে আবাহনীর ত্রাতা হয়ে আসেন আবুল হোসেন রাজু ও তাসকিন আহমেদ। এ দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় পৌনে দুইশত রান পার করে তারা। এ জুটি দলের পক্ষে ৫১ রান সংগ্রহ করে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। ৪৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন শান্ত। ৬৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া রাজু ২৮, সৈকত ২৭ ও বিসলা ২৩ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ৩৪ রানে ৩টি উইকেট পান শুভাশিষ। ৩০ রানে ২টি উইকেট পান হাবিবুর। এছাড়া ৩৫ রানে ২টি উইকেট নেন নাঈম জুনিয়র।আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement