বিনোদন

ছবির প্রলোভনে লালসার শিকার যেসব নায়িকারা

চলচ্চিত্র বাগিয়ে নিতে নিয়ে কিংবা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেতে পরিচালকদের শয্যাসঙ্গী হতে হয় নায়িকাদের। এটি নতুন কোনো কথা নয়। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রে নামকরা অনেক নায়িকারাও এই অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচালকদের বিরুদ্ধে। ক্যারিয়ারের দিকে তাকিয়ে কেউ কেউ পরিচালকের মনোরঞ্জন করেছেনও। আবার অনেকেই আপোস করেননি এ বিষয়ে। বলিউড দুনিয়ায় ‘কাস্টিং কাউচ’ কথাটি বেশ পরিচিত। এ শব্দের অর্থ কাজ পাওয়ার জন্য কোনওরকমের আপোস করা। এই আপোসের কোনো নির্দিষ্ট পরিধি নেই। বলিউড জগতে কান পাতলে শোনা যায়, অনেক নায়িকাই কাজ পাওয়ার জন্য নাকি পেশার বাইরে গিয়ে প্রযোজক, পরিচালক বা অন্য কোনো প্রভাবশালী ফিল্ম-ব্যক্তিত্বের শয্যাসঙ্গী হয়েছেন।ভারতের এ বেলা পত্রিকার বরাতে এখানে রইল ভারতের পাঁচ নায়িকার কাস্টিং কাউচ বিষয়ক গল্প-কঙ্গনা রানাউতজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। তিনি ২০১৪ সালে ‘তনু ওয়েডস মনু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পুরস্কার পেয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হলো এই ছবির কাজ পাওয়ার জন্য কঙ্গনাকে নাকি অশালীন প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রোডাকশন হাউজের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নাকি তাকে সরাসরি বলেন, কাজ পেতে হলে কঙ্গনাকে তার শয্যাসঙ্গী হতে হবে। কঙ্গনা সেই প্রস্তাবে সম্মত হননি। তবে তাতে এই ফিল্মের কাজ থেকে শেষ পর্যন্ত বঞ্চিত হতে হয়নি তাকে। এইসব কথা কঙ্গনা নিজেই জানিয়েছিলেন সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। মমতা কুলকার্নিবিখ্যাত পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নাকি ‘চায়না গেট’ ছবির কাজ করার সময়ে কোনো একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মমতা কুলকার্নিকে যৌন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মমতা সেই প্রস্তাবে সম্মত না হলেও মনোরঞ্জন তিনি করেছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। মমতা প্যাটেল‘পান সিং তোমর’ ফিল্মে অভিনয়ের সময়ে মমতাকে নাকি ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়েছিলেন খোদ অভিনেতা ইরফান খান। সেই প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি বলেই দাবি করেন মমতা। তবে ইরফান খান এই ঘটনাকে অস্বীকার করেন। কিন্তু এই অভিনেতার বিরুদ্ধে আরো বেশ ক’জন অভিনেত্রীই যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন।পায়েল রোহাতগিপায়েল অশোভন প্রস্তাবের অভিযোগ তোলেন পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দিবাকরের কাছে তার ছবি ‘সাংহাই’-এ একটি চরিত্র দেওয়ার আবদার রেখেছিলেন পায়েল। তার বিনিময়ে পায়েলকে নাকি তার পোশাক খুলতে বলেন দিবাকর। অপমানিত পায়েল এই কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে দেন।প্রীতি জৈন২০০৪ সালে প্রীতি জৈন পরিচালক বলিউডের নামকরা পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিলো। কোর্টে দাঁড়িয়ে পায়েল বলেছিলেন, ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে তাকে মোট ১৬ বার ধর্ষণ করেছিলেন মধুর। তবে সবকিছুই অস্বীকার করেন পরিচালক।এলএ/এবিএস

Advertisement