ফরিদপুরের কুমার নদে অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আর এতে নদের পাড়ের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এদের মধ্যে বহু পরিবার আছে যারা দুবার ভাঙনের শিকার হয়ে নদী পাড়ে ফের বাড়ি করছেন। কেউবা সরকারের রেলের জায়গা নদের তীরে বাড়ি করে একটু ঘুমানোর শেষ আশ্রয়স্থল তৈরি করছেন।
Advertisement
এ অবস্থায় কুমার নদের ফের ভাঙনে হাজারখানেক পরিবার দুশ্চিন্তায় রয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন বাড়ি কুমার নদের ভাঙনের কবলে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের চুনাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন পূর্ব ও পশ্চিমাংশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙনে ৫০-৬০টি পরিবারের বাড়িঘর, ফসলি জমি, গাছপালা নদের বুকে বিলীন হয়ে গেছে। সদর উপজেলার ৭-৮ নম্বর ওয়ার্ড দুটির কুমার নদের দুই পাড়ে যেসব বসতি আছে তাদের বাড়ি কোনো রকমেই রক্ষা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মদনখালী রেগুলেটর থেকে নদের পাড় দিয়ে পায়ে হেঁটে কুমার নদের ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের ভয়াবহতা।
Advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জিহাদ হোসেন বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম থেকে ভাঙন শুরু হলেও গত সপ্তাহ থেকে তীব্রতা বেড়েছে।
মো. আক্কাস আলী নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ৭২ ঘণ্টায় কুমার নদের পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চুনাঘাটা এলজিইডির ব্রিজের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশের নদীর উভয় পাড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে নদে সামান্য পানি থাকায় ভাঙন দেখা না গেলেও, এখন পানি কমে যাওয়ায় ভাঙন দৃশ্যমান হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় দলিল লেখক মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. ফরিদ জমিদার বলেন, হঠাৎ কুমার নদে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে আরও শত শত বাড়ি কুমার নদে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, কুমার নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কি কারণে ভাঙছে এক্সপার্টদের আসতে বলা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম