ধর্ম

মোনাজাতের পর হাতে চুমু খাওয়ার বিধান

হাত উঠিয়ে মোনাজাতের পর উভয় হাতের তালু মুখে মুছে নেওয়া মুস্তাহাব। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেন,

Advertisement

كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ يَحُطَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করার সময় যখন তার উভয় হাত উঠাতেন, তিনি তা দিয়ে তার চেহারা না মোছা পর্যন্ত নামাতেন না। (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৮৬)

মোনাজাতের পর হাতে চুমু খাওয়ার প্রচলন নবিজি (সা.) ও সাহাবিদের মধ্যে ছিল না। তাই এটা পরিহার করা উচিত। এটিকে সুন্নত বা মুস্তাহাব মনে করে করলে তা বিদআত গণ্য হবে।

Advertisement

আল্লাহর কাছে হাত না তুলেও দোয়া করা যায়, নিজের প্রয়োজন তুলে ধরা যায় বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। তবে নামাজের বাইরে দোয়া করার সময় হাত ওঠানো মুস্তাহাব। বেশ কিছু হাদিসে হাদিসে দোয়ার সময় হাত ওঠানোর কথা এসেছে। সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًاতোমাদের রব অত্যন্ত লজ্জাশীল ও দয়ালু। বান্দা যখন তাঁর কাছে কিছু চেয়ে হাত ওঠায় তখন তার হাত খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৫৬)

মালেক ইবনে য়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَاسْأَلُوهُ بِبُطُونِ أَكُفِّكُمْ وَلاَ تَسْأَلُوهُ بِظُهُورِهَا

Advertisement

তোমরা আল্লাহর নিকট দোয়ার সময় হাতের তালু ওপরে সম্মুখে রেখে দোয়া করবে, হাতের পৃষ্ঠ ওপরে রেখে নয়। ( সুনানে আবু দাউদ ১৪৭৬)

মোনাজাত আল্লাহর প্রিয় আমল। নবিজি (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়ার মতো প্রিয় আর কিছু নেই। (মুসনাদে আহমদ) কারণ দোয়ায় বান্দার দাসত্ব, বিনয়, অহংকারহীনতা ও আল্লাহর কাছে তার মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ قَالَ رَبُّکُمُ ادۡعُوۡنِیۡۤ اَسۡتَجِبۡ لَکُمۡ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ عَنۡ عِبَادَتِیۡ سَیَدۡخُلُوۡنَ جَهَنَّمَ دٰخِرِیۡنَতোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। যারা অহংকার করে আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা গাফির: ৬০)

অর্থাৎ যে অহংকার করে আল্লাহর ইবাদত থেকে বিরত থাকে এবং দোয়া ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাকে লাঞ্চিত ও অপদস্থ করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।

ওএফএফ/এএসএম