এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০৪ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৬৮৫ জনে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে বরিশাল বিভাগের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুজন, উত্তর সিটির দুজন এবং খুলনা বিভাগের দুজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৪, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১৩, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১১, খুলনা বিভাগে ৯২, রাজশাহী বিভাগে ২৮, ময়মনসিংহে ৩০, রংপুরে ১২ এবং সিলেটে ১ জন রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৩ হাজার ৬৮৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। একই সময়ে ডেঙ্গুতে ৫০৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো দেশ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগে মারা যান ২৮১ জন।
এএএম/এমকেআর/জেআইএম