ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের সাহায্য করেছে, এ অযুহাতে বাংলাদেশকে তার উপনিবেশ করে রাখতে চাইছে। পাকিস্তানিদের উপনিবেশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এত রক্ত আপনি ঢাললেন ভারতের উপনিবেশ হওয়ার জন্য?
Advertisement
সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আবুল মনসুর আহমেদের রাষ্ট্রচিন্তা: প্রেক্ষাপট গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রচিন্তা এ সভার আয়োজন করে। দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সভা চলে। সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, কীভাবে ভারতের সঙ্গে জনস্বার্থ ও ইনসাফের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে? এর জবাবে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অপরাধের মধ্যে একটা হচ্ছে বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড তিনি ধ্বংস করেছেন। পাওয়ার সেক্টরে লুটপাট, অর্থপাচার, দেশে অনাচার, গুম, খুন, অত্যাচার। এর বাইরেও বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশকে ভারতের দাসে পরিণত করেছিলেন। সেটা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম কাজ আপনারা করেছেন। সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা। দ্বিতীয় হচ্ছে জণগণের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার পরিচয় দেওয়া। গণ্ডগোল বাধানোর জন্য যে উসকানি এখন অন্যরা দিচ্ছে, সেগুলো প্রতিহত করতে রাজনৈতিক সততা দরকার। সচেতনতা দরকার ও রাজনৈতিক শক্তি দরকার।
Advertisement
সভায় এক শিক্ষার্থী ভারত, আমেরিকা ও ইসরায়েলের জাতীয় পতাকার ছবিতে পদচিহ্ন আঁকার বিষয়ে মতামত জানতে চান। এর জবাবে সলিমুল্লাহ খান বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত, মাও সেতুং বলেছেন। বিদ্রোহের একটা ফর্ম হচ্ছে প্রতীকী। আমেরিকায় সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া কোনো অপরাধ নয়। মানুষ বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে পতাকার মধ্যে আগুন দিয়েছে আমেরিকায়। অর্থাৎ মানুষের জন্য পতাকা, পতাকার জন্য মানুষ নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রচিন্তার উপদেষ্টা, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনটির সদস্য তানভীন কায়েস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এমডিআইএইচ/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement