ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন কমবেশি সবাই। প্রিয়জন বলতে যে শুধু সঙ্গী বা প্রেমিক-প্রেমিকাকেই বোঝায়, তা কিন্তু নয়। মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবাই প্রিয়জনের কাতারে পড়তে পারেন।
Advertisement
খুব বেশি আনন্দের সময় যেমন আমরা প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরি, আবার কাউকে সান্ত্বনা দিতেও বুকে টেনে ধরেন অনেকেই। বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে আলিঙ্গন।
আজ কিন্তু প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন। অর্থাৎ ‘লেটস হাগ ডে’ আজ। ৩ ডিসেম্বর এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয় সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
তবে জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। কেভিন জাবর্নি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
এইডসমুক্ত থাকতে মানুন ৮ সতর্কতা মশার কামড়ে হতে পারে যেসব রোগএই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা। যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।
জানলে অবাক হবেন, বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে আলিঙ্গন ভালো হরমোন নিঃসরণ বাড়া। যা রক্তচাপ ও মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন আলিঙ্গন করার মাধ্যমে সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটে। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে অক্সিটোসিন নামক সুখী হরমোনের নিঃসরণ ঘটে।
Advertisement
ফলে কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমে কমায়। এছাড়া আলিঙ্গন রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও হতাশা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ইন্দোনেশিয়ার মুলাওয়ারম্যান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, হাগ থেরাপি হতাশাগ্রস্থ কিশোর-কিশোরীদের মানসিকভাবে সুস্থ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
সূত্র: ন্যাশনাল ডে
জেএমএস/এমএস