লাইফস্টাইল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লাইফস্টাইলে আনুন ৫ বদল

ডায়াবেটিস একটি কঠিন ব্যাধি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের শরীরে ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে ও ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু করে একাধিক অঙ্গ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে জীবনযাত্রায় আনতে হবে কয়েকটি পরিবর্তন। জেনে নিন কী কী-

Advertisement

ডায়েটে নজর রাখুন

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসকে বশে রাখতে চাইলে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব ডায়েটে বদল আনতে হবে। এক্ষেত্রে ডায়েটে রাখুন উচ্চ ফাইবারজাতীয় খাবার। কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে রাখুন- ওটস, আটার রুটি ও ব্রাউন রাইস।

এর পাশাপাশি ডায়েটে রাখতে পারেন শাক-সবজি। এ ধরনের খাবারে ফাইবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজও আছে। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমান

গবেষণায় দেখা গেছে, মোট ওজনের যদি ৭ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়। তাই শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর দিকে নজর দিন।

Advertisement

এক্ষেত্রে বাইরের ফাস্টফুডসহ অন্যান্য হাই ক্যালোরি খাবার একবারেই খাওয়া চলবে না। এর পাশাপাশি নিয়মিত করতে হবে ব্যায়াম। তবেই ওজন কমবে দ্রুত।

আরও পড়ুন এইডসমুক্ত থাকতে মানুন ৮ সতর্কতা  মশার কামড়ে হতে পারে যেসব রোগ  নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

আমাদের মধ্যে অনেকেই অলস জীবন কাটান। তারা একটুও শারীরিক পরিশ্রম করতে চান না। আর এ কারণে ইনসুলিন হরমোন ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। ফলে সুগার বেড়ে যায়।

তাই প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হলেও ব্যায়াম করুন। সবচেয়ে ভালো হয় এ সময় জিমে গিয়ে স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে। তবে যারা জিমে যেতে চান না তারা সাইকেল চালান, হাঁটুন, জগিং করুন কিংবা দৌড়ান।

দুশ্চিন্তা কমান

ডায়াবেটিসের সঙ্গে দুশ্চিন্তার খুব বড় সংযোগ আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক দুশ্চিন্তা করা ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন হরমোন ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।

Advertisement

যার ফলে বিপদ বাড়ে। তাই যে ভাবেই হোক স্ট্রেস কমান। আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে প্রাণায়াম, মাইন্ডফুলনেস শুরু করুন। তাতেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন।

ধূমপান ও মদ্যপান নয়

আপনি কি ধূমপানে আসক্ত? তাহলে আজ থেকেই সাবধান হতে হবে। কারণ ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক মদ্যপান ও ধূমপান বন্ধ করার। নিজে না পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ধূমপান আসক্তি বন্ধ করুন।

সূত্র: এই সময়

জেএমএস/জিকেএস