এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৮২ জন।
Advertisement
রোববার (১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬ জনের ২ জন চট্টগ্রামের, ১ জন বরিশালের, ১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ও ১ জন রাজশাহীর বাসিন্দা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩৩, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪০, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০৪, খুলনা বিভাগে ৯১ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন ও সিলেটের ৮ জন ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
ডেঙ্গু সংক্রমণের মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন মশার কামড়ে হতে পারে যেসব রোগস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ হাজার ৩৫১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৪ জনের। এর মধ্যে নারী ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পুরুষ ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান
এএএম/ইএ/জিকেএস