যশোরের বেনাপোল বন্দরের সোনার বাংলা আবাসিক হোটেলে মুন্না (১৩) নামে এক কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে হোটেল মালিক আবু তালেব।নিহত মুন্না শার্শা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ সোনার বাংলা হোটেলে কাজ করত।স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের দায়ে কয়েকবার হোটেল মালিককে জরিমানা এবং হোটেলটিকে সীলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু "উপর মহল"কে ম্যানেজ করে হোটেলটি খুলে আবার একই ব্যবসা চালু করেন মালিক আবু তালেব। গত কয়েক দিন আগে হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের কথা জেনে যায় আবু তালেবের পরিবার। পরিবারকে জানানোর জন্য তালেব কর্মচারী মুন্নাকে দায়ী করেন। এরই জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় তালেব মুন্নাকে হোটেলের ছাদে নিয়ে লাঠিপেটা করে স্বীকার করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেধড়ক মারার পরও সে অস্বীকার করলে তাকে হোটেলের সিঁড়ি থেকে ফেলা দেওয়া হয়। এসময় হোটেল মালিক প্রচার করতে থাকেন নেশা করে হোটেলের ছাদে থেকে মুন্না পড়ে গেছে।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু রাত ৮টার দিকে হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্নার মৃত্যু হয়। নিহতের চাচা মোস্তফা বলেন, মুন্নার বাবা আরেকটি বিয়ে করে সেখানে থাকেন। ছেলেটি দীর্ঘ দিন ধরে হোটেলটিতে কাজ করত। সামান্য একটি বিষয় নিয়ে এভাবে ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি। এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।এ ঘটনায় হোটেল মালিক তালেবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান জানান, এ ঘটনায় সোনার বাংলা হোটেল মালিকের স্ত্রী ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তবে হোটেলের মালিক আবু তালেব পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।জামাল হোসেন/এফএ/আরআইপি
Advertisement