আন্তর্জাতিক

দিল্লি বিধানসভায় কংগ্রেস জোটের সঙ্গী হবেন না কেজরিওয়াল

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তাতে একাই লড়বে শাসকদল আম আদমি পার্টি। রোববার (১ ডিসেম্বর) এমনটাই জানালেন দলের সর্বময় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

Advertisement

তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনে কোনো জোটের সঙ্গে থাকছে না আপ। অর্থাৎ, সব ক’টি কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে তারা। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক হয়েছিল আপ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। লোকসভায় আপের ভরাডুবি হয়েছে দিল্লিতে। সব আসনেই বিজেপি জিতেছে।

এবার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে জোটে না থাকার কথা ঘোষণা করে দিলেন কেজরি। ফলে আরও এক বার ধাক্কা খেলো কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’।

আগামী বছরের শুরুতেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফেব্রুয়ারির আগেই ভোট হতে পারে। তার আগে এখন দেশটির রাজধানীর রাজনীতিতে পারদ ঊর্ধ্বমুখী। চলছে নেতাদের দলবদলও।

Advertisement

সম্প্রতি একাধিক বড় মাপের নেতা আপ ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন। আবার অনেকে কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। এর মাঝেই রোববার একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আপ কোনো জোটে থাকবে না। একা লড়াই করবে।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সেখানে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত) জোট ‘মহাজুটি’। যদিও ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ জিতেছে। কিন্তু ‘ধারে ও ভারে’ ঝাড়খণ্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকা মহারাষ্ট্রে জিততে না পারা ‘ইন্ডিয়া’কে পিছিয়ে রেখেছে। এবার দিল্লিতে কেজরির ‘একলা চলো’ নীতি নতুন করে ধাক্কা দিলো বিরোধী জোটকে।

‘ইন্ডিয়া’কে অবশ্য এই প্রথম ‘না’ করলেন না কেজরি। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে পাঞ্জাবে আপ একা লড়বে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। হরিয়ানার ভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো আসন সমঝোতা হয়নি আপের। দিল্লির বিধানসভা ভোটেও একার লড়াইয়ের উপরেই আস্থা রাখছেন কেজরি।

দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। ফলে কেজরি হয়েছিলেন ভারতের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। তারপর দীর্ঘ দিন তিনি জেলে ছিলেন।

Advertisement

জুন মাসে বন্দি অবস্থাতেই এই মামলায় তাকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছিল সিবিআই। পরে দুই সংস্থার করা মামলা থেকেই কেজরি জামিন পান। সুপ্রিমকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করার সময়ে জানিয়েছিল, সরকারি দপ্তরে তিনি যেতে পারবেন না, সই করতে পারবেন না কোনো সরকারি ফাইলেও। এরপরেই তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হন আপ নেত্রী অতিশী।

সূত্র: এনডিটি

এমএসএম