দেশকে অস্থিতিশীল করতে ‘পঞ্চম বাহিনীর’ উপদ্রব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
Advertisement
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গানের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। রিজভী বলেন, দেশকে পরাধীন করার চক্রান্ত চলছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে পঞ্চম বাহিনীর উপদ্রব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।
ইসকনকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইসকন হঠাৎ উত্তপ্ত কেন, আগ্রাসী মনোভাব কেন? এরা কারা? এদের তো নতুন করে চিনতে হয়। কেন এ বিদ্বেষ পোষণ করছে তারা নিজেদের মধ্যে, হঠাৎ কেন ১০ জায়গায় সমাবেশ! সংঘাত শেষ না হতেই ভারতের রি-অ্যাকশন। এ পঞ্চম বাহিনী থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতে চিকিৎসা বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের লোকজন যে হিংসা-বিদ্বেষে ভোগেন, চিকিৎসা বন্ধের হুমকি দেওয়া তারই প্রমাণ।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ভারতে না গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না, এটি ভুল ধারণা। অনেক যোগ্য চিকিৎসক বাংলাদেশে রয়েছেন। ভারত না করলে আমরা চিকিৎসা পাবো না বিষয়টি এমন নয়। দেশেও অনেক ভালো চিকিৎসক রয়েছে। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল না। ভারতের থেকে স্যানিটেশন অনেক উন্নত এখানে। কীসের অহংকার ভারতের!
Advertisement
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আগের তুলনায় ভালো দাবি করে রিজভী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটার সুযোগ নষ্ট করতে অপপ্রচার করছে। নিজস্ব শক্তিতেই বিকাশ লাভ করবে দেশ, কারও আনুগত্যে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। কারও চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাই না।’
তিনি বলেন, তারা হুমকি দিচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল অপারেশন করবে আমরা কী হাত ঘুটিয়ে বসে থাকবো?
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেনি। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। অন্যায় ও অত্যাচার যখন রাষ্ট্রের ওপর চেপে বসে তখন শিল্প-সংস্কৃতির আন্দোলন বড় দায়িত্ব পালন করে। আন্দোলন যত তীব্র হয়, বিজয় তত এগিয়ে আসে। গণঅভ্যুত্থানে ইথুন বাবুর লেখা ও মৌসুমির গাওয়া ‘দেশটা তোর বাপের নাকি?’ গানটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। শিল্পীরাই ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিরোধ করবে।
কেএইচ/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement