টনি কোজিয়ার। কখনও ক্রিকেট খেলেননি। তবে ক্রিকেটকে ধারণ করেছিলেন তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে। কখনও একটি বল করতে নামেননি, তবুও ক্রিকেট ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। ক্রিকেটার না হয়েও একটি দেশের ক্রিকেটে তার সে কী প্রভাব-প্রতিপত্তি আর অবদান! খুঁজলেই অবিশ্বাস্যরকম মনে হবে যে কারও কাছে। টনি কোজিয়ার ছিলেন তেমনই একজন। যাকে বলা হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর। একাধারে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের লেখক, ধারাভাষ্যকার এবং সাংবাদিক- অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ৭৫ বছর বয়স হয়েছিল তার। ছিলেন শক্ত-সামর্থ্যও; কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। ভর্তি হলেন তার নিজের দেশ বার্বাডোজের একটি হাসপাতালে। গত ৩ মে তারিখে ভর্তি হওয়ার পর এতদিন হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। ঘাড় এবং পায়ে সংক্রমনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করানোর জন্যই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। অবশেষে সেখান থেকে আর ফিরতে পারলেন না। চলে গেলেন একা, সবাইকে দুনিয়াতে রেখে।কিশোর বয়স থেকেই ক্রিকেট লিখতেন তিনি। ক্রিকেটার না হলেও ক্রিকেটকে করে নিয়েছিলেন নিজের সব ধ্যান-জ্ঞানের একমাত্র তীর্থভূমি। ১৯৫৮ সাল থেকে তিনি ছিলেন ক্রিকেটের নিয়মিত লেখক। প্রায় ৫৮ বছর ধরে তিনি ছিলেন ক্রিকেটের সাধক। যে কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের অনবধ্য এক কণ্ঠস্বর।টনি কোজিয়ারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে আইসিসি। এক টুইট বার্তায় তারা লিখেছে, ‘টনি কোজিয়ারের মৃত্যুর সংবাদে আইসিসি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ক্রিকেটে সত্যিকারের এক কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে ক্রিকেট সত্যিকারের একজন বন্ধুকে হারালো।’ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। তারা লিখেছে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ঘিরে সারা জীবনভর তিনি লিখে গেছেন, বলে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে তার অসামাণ্য অবদান। সারা বিশ্বব্যাপি ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সমর্থক তৈরীতে দারুণ কাজ করেছেন তিনি। পুরো জীবনটাকেই তিনি উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটের জন্য।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement