অর্থনীতি

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: এমসিসিআই

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের অর্থনীতি সাময়িক উন্নতি করেছে। অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে বিশেষ করে আমদানি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রিজার্ভের পতন ঠেকানোর মাধ্যমে পরিবর্তিত সময়ে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখছে বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

Advertisement

তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারি ব্যয় হ্রাস, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের গতি কমে যাওয়ার মত চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রকাশিত অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পর্যালোচনায় এমসিসিআই বলেছে, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফেরাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে জরুরি অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার।

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ; এই সময় মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার। প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন ঋণ করেও কমানো যাচ্ছে না ঋণ পরিশোধের চাপ

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ কমে গেছে। এই সময় ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

দেশীয় ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অর্থাৎ বেসরকারি ঋণপ্রবাহ অবশ্য তেমন একটা কমেনি। কিন্তু এই সময় সরকারি খাতের ঋণ ও ব্যয় অনেকটাই কমেছে।

এমসিসিআই দেখিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি অনেকটাই কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্রড মানির প্রবৃদ্ধিও কমে এসেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্রড মানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

Advertisement

চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে প্রান্তিকের শেষ মাস সেপ্টেম্বরে আগস্টের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।

জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ; এই সময় মোট আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬১৭ কোটি ডলারের সম্পদ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ দশমিক ৯১ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৫৯১ কোটি ডলারের।

এসআরএস/এমকেআর/জিকেএস