সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অকারণে এমন ভাঙচুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে শিক্ষার পরিবেশও। শিক্ষার্থীদের এমন হুট-হাট সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
Advertisement
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সেগুলো আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে গ্রাফিতি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, খেলাধুলার আয়োজন, দলগত ট্যুর প্রভৃতি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজপর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংশ্লিষ্টহীন বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সভা, সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নিচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধরনের অনাহুত কার্যক্রম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে নানা উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
Advertisement
‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী বা শ্রেণিকক্ষমুখী রাখা এবং বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন’ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
নির্দেশিত ৯ কর্মসূচিতে যা আছেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে নমুনা হিসেবে ৯টি কর্মসূচি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রয়োজনে একই ধরনের আরও কর্মসূচি স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে পারবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
নির্দেশিত ৯ কর্মসূচি হলো—১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
২. ‘বিজয়ের ৩৬ জুলাই’ ভিত্তিক গ্রাফিতি অঙ্কন। নির্বাচিত গ্রাফিতি নিয়ে সফট অ্যালবাম তৈরি। শ্রেষ্ঠ গ্রাফিতিকে পুরস্কার প্রদান।
Advertisement
৩. ‘ক্রান্তিকালে তারুণ্য দুর্জয়’ ভিত্তিক থিম সং তৈরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবেশন। সফট অ্যালবাম তৈরি। শ্রেষ্ঠ থিম সংকে পুরস্কার প্রদান।
৪. গার্লস স্কুল ও কলেজে ‘পার্সোনাল হাইজিন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
৫. জাতীয় দিবস ‘আনুষ্ঠানিক তারুণ্য কুচকাওয়াজ’ (বিএনসিসি স্কাউট-রোভার সহযোগিতা)।
৬. ‘জুলাই বিপ্লব: কি, কেন, কীভাবে’ বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনা সভা।
৭. ‘তরুণ চোখে নৈসর্গ দর্শন’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকটস্থ নান্দনিক স্থান (নদীতীর/চর/উপকূল/পাহাড়/টিলা/ফসলি মাঠ) দলবদ্ধ ভ্রমণ)।
৮. দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্য উৎসব ২৫’কে আনন্দময় করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট/ভলিবল/ফুটবল খেলার আয়োজন।
৯. তরুণদের উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে আগ্রহী করতে ‘জেন-জি এন্টারপ্রেনার’ শীর্ষক বির্তক প্রতিযোগিতা আয়োজন।
এএএইচ/এমআরএম/জিকেএস