গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটন ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সেমিনারে কিছু প্রস্তাবনা এসেছে। এই প্রস্তাবনাগুলো যেন রিভাইজড আকারে আসে, যা দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের উন্নয়নে ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটন ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ সময় রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিতকল্পে ‘কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট রুল’ প্রণয়ন করার পাশাপাশি সারাদেশের পরিকল্পিত ও সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানিক পরিকল্পনা (Spatial Planning) প্রণয়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
Advertisement
সেমিনারে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটন ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন এবং ‘ফরমুলেশন অব ন্যাশনাল স্পাসিয়াল প্ল্যান’ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এসব প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, অধ্যাপক ড. ইসরাত ঈসলাম ও অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদ আলী।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.), অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মতিন, অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমানসহ নগর পরিকল্পনাবিদ ও মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসইউজে/ইএ/জিকেএস
Advertisement