বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেস (ইএমজিএস) উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
Advertisement
ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ ২৭ নভেম্বর কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
২৮ নভেম্বর, পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সেরি ড. জামব্রি আব্দ কাদিরের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা স্মারক বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বাংলাদেশি ছাত্র, শিক্ষক এবং গবেষকদের অধ্যয়ন, গবেষণা, পড়াশোনা এবং পাঠদানের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীনের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বক্তব্য দেন।
Advertisement
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এস এম এ ফায়েজ শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ সমঝোতা স্বাক্ষর বৃহত্তর সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে ইএমজিএস-এর আন্তরিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশকে এই সহযোগিতাকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং এটি বাস্তবায়নে মিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি সমঝোতা স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ড. ফখরুল ইসলাম, সচিব, ইউজিসি ও মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
মানসম্মত এবং বহনযোগ্য শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রায় ৭ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়ন করছে।
Advertisement
মালয়েশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে তাদের ইসলামী মূল্যবোধকে সমন্বয় করে একটি নতুন ধরনের উচ্চ শিক্ষার মডেল তৈরি করেছে। এই মডেল বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
সাথে সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় জুলাই মুভমেন্টের মূল ভিত্তি, ‘সামাজিক ন্যায় বিচার’ সংযুক্ত করে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে মালয়েশিয়ার সাথে গবেষণার সহযোগীসহ উচ্চ শিক্ষার পারস্পরিক সহযোগিতার রূপরেখার তৈরি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এমআরএম/জিকেএস