প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্যের ঝলক

আন্তর্জাতিক মহলে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ২৭ নভেম্বর মালয়েশিয়ার পিং সিটি পুত্রজায়ার তামান বোটানিতে অনুষ্ঠিত মিট অ্যান্ড গ্রিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস (ম্যাগনেট ২০২৪) অনুষ্ঠানে অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উজ্জ্বল উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

প্রতি বছর এই আন্তর্জাতিক মিলনমেলার আয়োজন করে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারের আসরে অংশ নেন মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, ইয়াং বেরবাহাগিয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল দাতুক মার্দজুকি বিন মুহাম্মাদ এবং মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জামব্রি আবদুল কাদির।

প্রোগ্রামের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের বুথ প্রদর্শনী। ইউনিভার্সিটি মালায়ার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএমআইএসএ) ব্যানারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি দলটি তাদের বুথে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রদর্শনী আয়োজন করে। ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প, ঐতিহাসিক উপস্থাপনা এবং গল্পের মাধ্যমে তারা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেন।

Advertisement

বাংলাদেশি দলের সদস্যরা ছিলেন আকিফ মওলা, ইফফা নবীহা খান, আহমদ সাজিদুর রহমান, ক্যসুইসিং মারমা, শিবলি নোমান, এম এ তাহের এবং ইসমাত জাহান।

মঞ্চে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ডকুমেন্টারি ও নৃত্য প্রদর্শন করে। ইউনিটেনের শিক্ষার্থী মো. আলামিন সরকারের নেতৃত্বে মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করেন মো. আসাদুজ্জামান নূর, সাদিয়া রহমান বিপা ও আনিসা ইবনাথ। তাদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের সংস্কৃতির উজ্জ্বল পরিচয় তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি সুলতান জয়নাল আবেদীন তেরেঙ্গানুর পিএইচডি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মিট অ্যান্ড গ্রিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস (ম্যাগনেট ২০২৪) শুধু একটি সাংস্কৃতিক উৎসব নয়; এটি বৈশ্বিক ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে মেলবন্ধন হিসেবে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই অর্জন আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের মর্যাদাকে আরও উচ্চতর করেছে।

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement