ফিচার

অনলাইনে আয়কর দিতে কী কী ডকুমেন্টস লাগবে?

বছরে করযোগ্য আয় থাকলে অবশ্যই কর দিতে হবে। সময়মতো কর না দিলে জরিমানা সহ নানা ঝামেলায় পড়তে পারেন। জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৩৮টি পরিষেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।

Advertisement

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।

নির্দিষ্ট সময় আয়কর জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। জমি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৪৪টি সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। যাদের টিআইএন নম্বর আছে, তাদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বাৎসরিক আয় করযোগ্য না হলে কর দিতে হবে না।

অনেকেরই ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন নেই। কেউ আবার প্রথমবারের মতো টিআইএন খুলতে চাচ্ছেন। চাইলে টিআইএন তৈরি করা যায় অনলাইনে। জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আরজেএসসি নম্বর থাকলেই অনলাইনে আয়কর নিবন্ধন করা যাবে।

Advertisement

আপনার করযোগ্য আয় নেই কিন্তু টিন সার্টিফিকেট আছে তাহলে আপনি জিরো রিটার্ন সাবমিট করুন। প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। ৩০ নভেম্বর দেশে আয়কর দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিনই ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ। তবে এবার আরও একমাস বেশি রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

জেনে নিন আয়কর দিতে আপনার কী কী ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগবে-

টিআইএন সনদের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ১ জুলাই’ ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বেতন আয়ের প্রত্যয়নপত্র/সার্টিফিকেট, ১ জুলাই’ ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের বিবরণী (যদি আপনার ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়; যেমন- সঞ্চয়পত্রের মুনাফা গ্রহণ করেন অথবা ব্যাংক হিসাবে টাকা বিদ্যমান থাকে), প্রভিডেন্ট ফান্ড/ভবিষ্যৎ তহবিলে জমাকৃত অর্থ এবং প্রাপ্ত সুদের বিবরণী, ব্যাংকে এফডিআর বা ডিপিএস থাকলে সেটির বিবরণী, শেয়ারে বিনিয়োগ অথবা বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া হলে তার সার্টিফিকেট, সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা থাকলে তার মুনাফা আয় এবং উৎস কর কর্তনের সার্টিফিকেট, নিজের নামে কোনো সম্পত্তি (ফ্ল্যাট, বাড়ি বা গাড়ি ইত্যাদি) থাকলে তার দলিলের কপি, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, ব্যবসায় বার্ষিক ক্রয়-বিক্রয় ও আয় বিবরণী এবং ব্যবসার সম্পদ ও দ্বায় বিবরণী, ব্যাংক অন্য কোনো উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করলে তার বিবরণী, অন্যান যে কোনো উৎস থেকে আয় থাকলে অথবা কর কর্তন করা হলে তার প্রমাণপত্র ও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুন কবে কখন শুরু হয়েছিল কাগজের ব্যবহার জানেন?  আয়কর রিটার্ন কীভাবে ফাইল করবেন? 

কেএসকে/জিকেএস

Advertisement