পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জনাব জিয়াউল হক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক মোট কার্বন নিঃসরণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। কিন্তু সমঝোতা সম্মেলন-২৯ থেকে আমরা আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাইনি।
Advertisement
বৈশ্বিক জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন কপ-২৯ থেকে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন একথা বলেন তিনি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সিপিআরডির নেতৃত্বাধীন ৪২টি নাগরিক সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের জোট ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বক্তা জনাব মো. শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রা (নিউ কালেক্টিভ কোয়ান্টিফাইড গোল) ২০৩৫ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। অর্থ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সব পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু উন্নত দেশগুলির উপর একক দায়িত্ব আরোপ করা হয়নি। এর ফলে শিল্পোন্নত বিশ্বকে তাদের ঐতিহাসিক দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার রাস্তা তৈরি হয়েছে। মূলত এটি একটি মুনাফা তৈরি করার নতুন উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এ সব উদ্যোগগুলো ঋণ এবং অন্যান্য নব্যউদারনৈতিক আর্থিক উপকরণের উত্তোরোত্তর বৃদ্ধিকে তরান্বিত করার ঝুঁকি তৈরি করে চলেছে, এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার পথ নিশ্চিতভাবে ব্যাহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'গ্লোবাল স্টকটেক' এর বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে রাষ্ট্রসমূহ এবারের সমঝোতা সম্মেলনে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বরং এটিকে আগামী কপ-৩০-এর জন্য ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ এটি অবিলম্বে চূড়ান্ত হওয়া প্রয়োজন যাতে এটি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হয়।
Advertisement
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জনাব মনীষ কুমার আগরওয়াল বলেন, যদিও জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন এবং জীবিকাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, কিন্তু জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিপদাপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব জনগোষ্ঠীর ন্যায্যতার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়না।
আরএএস/এসআইটি/এএসএম