গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। মস্কো লন্ডনকে সতর্ক করে বলেছে, রুশ ভূখণ্ডে তারা ‘অঘোষিত" গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না।
Advertisement
তবে যুক্তরাজ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা গুপ্তচর ছিলেন না। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এটি এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, রাশিয়া সম্প্রতি এক ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করেছে, যিনি ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত নাইজেল কেসিকে ডেকে পাঠিয়েছে। কারণ রুশ নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি দাবি করেছে, তারা এক ব্রিটিশ গুপ্তচরকে শনাক্ত করেছে। সংস্থাটির দাবি, যে ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, তিনি দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ছিলেন এবং ‘গুপ্তচরবৃত্তির কাজ’ করছিলেন, যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে।
তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে। লন্ডন জানিয়েছে, তারা যথাসময়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই উত্তেজনা দীর্ঘদিনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের অংশ, যা রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মূল কারণ। ২০০৬ সালে লন্ডনে রুশ-বিরোধী এজেন্ট আলেকজান্ডার লিটভিনেনকোর হত্যাকাণ্ড এবং ২০১৮ সালে সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষাক্ত ননোভিচক দিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।
সূত্র: এএফপিকেএএ/
Advertisement