জাতীয়

ইসকন মানেই সনাতনী নয়, জঙ্গি সংগঠন: আব্দুল হান্নান মাসউদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয়, ইসকন মানেই সনাতনী নয়। ইসকন হলো একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন।

Advertisement

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত দোয়া ও সম্প্রীতি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ইসকনের উদ্দেশ্য হলো এ দেশের সনাতনী ভাইদের ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়া। এদেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করা। আপনারা যদি ইতিহাস লক্ষ্য করেন, স্বামীবাগে সনাতনী ভাইদের মন্দির এ ইসকনের উগ্রবাদীরা দখল করে নিয়েছে। এ ইসকনের উগ্রবাদীরা ২০১৯ সালে সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছিল। এ উগ্রবাদীরা কুড়িগ্রামে একটি গ্রাম থেকে সনাতনী ভাইদের তাড়িয়ে দিয়ে গ্রামটি দখল করে নিয়েছিল। ইসকন মানেই সনাতনী নয়।

তিনি বলেন, আমার সামনে এখানে মিডিয়ার সাংবাদিকরা আছেন। গত কয়েকদিনের চিন্ময় দাসের প্রতিটি প্রোগ্রামকে আপনারা সনাতনীদের প্রোগ্রাম হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আপনারা কী করে এটা পারেন? আপনারা কী ইসকনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দেখেন না? আপনারা কী মনে করেন চিন্ময় দাস মানেই সব সনাতনী, ইসকন মানেই সনাতনী? তাহলে জঙ্গি ইসকনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে হাজার হাজার সনাতনী প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা কারা? ইসকন একটি জঙ্গি সংগঠন।

Advertisement

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, যেভাবে ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সংঘর্ষের কথা বাংলাদেশে হয়েছে বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার কিছুই বাস্তবে হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল ক্ষমতায় এসেই এ বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বকে জানান দেওয়া। এছাড়া ভারত ক্রমাগত যে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সে ব্যাপারেও সরকারকে সরব হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোসরদের বিচার হয়নি, তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। যদি তাদের গ্রেফতার করা হতো তাহলে আ জ ম নাসিরের লোক কীভাবে ইসকনের পেছনে কলকাঠি নারে? তাদের তো আজ জেলখানায় থাকার কথা ছিল। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর ইস্যুটি একটি সেনসিটিভ বিষয়। এটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ফিরতে চায়। হয়তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই কিন্তু তারা সংখ্যালঘু কার্ড আজীবন খেলে যাবে। আমাদের রাজনীতিতে এ বিষয়টা সবসময় রাখতে চাইবে তারা। যাতে ভারত বা আওয়ামী লীগ এ সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে।

এ ছাড়া সম্প্রীতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাহিন সরকার, রফিকুল ইসলাম আইনি, আহনাফ সাঈদ খান, ইব্রাহিম মিলন, প্রীতম সোহাগ, রফিক মাসুদ, নুসরাত তাবাসসুম প্রমুখ।

এমএইচএ/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement