আইন-আদালত

আপিলে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সফু

নিউমার্কেট থানার নাশকতার মামলায় আপিলে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু।

Advertisement

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মুহাম্মদ আলী আহসান আপিল শুনানি শেষে তাদের খালাস দেন।

গত ২০ নভেম্বর তার এ মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ। এর মধ্যে ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০০ টাকার জরিমানা, অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ৩২৩ ধারায় এক বছরের বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর সফু খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিল শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে তাকে খালাস দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার সময় নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেটে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশ নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন এএসআই খলিলুর রহমান। পরে তদন্ত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

Advertisement

জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য সেদিন বিএনপি নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপি নেতা হাবিবুন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল ও মীর সরাফত আলী সফুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। পুলিশের দেওয়া ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত ২০২১ সালের ১৫ মার্চ বিএনপি নেতা হাবিবুর নবী খান সোহেলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির করেছেন পাঁচজন। আর ওই পাঁচজনই ছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্য। প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ১৭ জুলাই।

জেএ/এমএএইচ/জিকেএস